মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় দুই দফা রিমান্ড শেষে পরীমনি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ তথ্য দিয়েছেন উল্লেখ করে তাকে জামিন না দিয়ে জেলহাজতে পাঠানোর আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা।

ওই আবেদনে গোলাম মোস্তফা উল্লেখ করেছেন, ‘মামলার তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আসামি শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে স্মৃতিমনি ওরফে পরীমনিকে জেলহাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে মামলার তদন্তে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি পলাতক হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।’

শুক্রবার (১৩ আগস্ট) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে পরীমনিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা।

আদালতে করা আবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ‘রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে মামলার বিষয়ে আসামি (পরীমনি) বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত দিয়েছেন। মামলার তদন্তের স্বার্থে তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।’

সেখানে আরও বলা হয়, ‘মামলার অভিযোগের সঙ্গে তার জড়িত থাকার ব্যাপারে পর‌্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তদন্ত অব্যাহত আছে। মামলার তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাকে জেলহাজতে আটকে রাখা একান্ত প্রয়োজন।’

অপরদিকে, তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষ পরীমনির জামিনের বিরোধিতা করেন।

গত ১০ আগস্ট দুপুরে চারদিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস তার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ৫ আগস্ট পরীমনি ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাতদিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ প্রত্যেকের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ৪ আগস্ট বিকেলে পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাবের গোয়েন্দা দলের সদস্যরা। প্রায় ৪ ঘণ্টার অভিযান শেষে রাত ৮টার দিকে তাকে আটক করে র‌্যাব সদরদফতরে নিয়ে যাওয়া হয়।